• রোববার ১৯ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৫ ১৪৩১

  • || ১০ জ্বিলকদ ১৪৪৫

উত্তোলনের পরিমান লক্ষ্য মাত্রা অর্জন করেছে মধ্যপাড়া পাথর খনিতে  

প্রকাশিত: ৫ নভেম্বর ২০২৩  

মধ্যপাড়া পাথর খনিতে অক্টোবর মাসে উৎপাদনের পরিমান লক্ষ্য মাত্রা ছাড়িয়ে রেকর্ড পরিমান পাথর উত্তোলন করেছে। দিনাজপুরের পার্বতীপুরের মধ্যপাড়া পাথর খনি থেকে গত অক্টোবর মাসে প্রায় দেড় লক্ষ মেট্রিক টন সর্বোচ্চ পাথর উত্তোলন করেছে খনির বর্তমান ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান জার্মাানীয়া-ট্রেস্ট কনসোর্টিয়াম (জিটিসি)। ২০০৭ সালে পাথর খনির বাণিজ্যিক উত্তোলন শুরু থেকে ইতিপুর্বে এক মাসের মধ্যে এতো পরিমান পাথর উত্তোলন করা কখনোই সম্ভব হয়নি।

উল্লেখ্য, বর্তমান চুক্তির সময়কালে ধারাবাহিকভাবে প্রায় প্রতিমাসেই জিটিসি পাথর উত্তোলনে রেকর্ড স্থাপন করে চলেছে। 

জানা গেছে, পাথর খনিটিকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে জার্মানীয়া-ট্রেস্ট কনসোর্টিয়াম (জিটিসি) এর সাথে খনি কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা, রক্ষনাবেক্ষন,উৎপাদন এবং পরিচালনা চুক্তি হয়। জিটিসি খনির উন্নয়ন ও উৎপাদনকে গুরুত্বের সাথে নিয়ে পাথর উত্তোলন শুরু করে এবং প্রথম দফা চুক্তির মেয়াদে বিভিন্ন ধরনের প্রতিবন্ধকতা, অসহযোগিতা সহ  নানা প্রতিকূলতার মাঝেও ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছর থেকে টানা ৪ অর্থ বছরে খনিটিকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করে।

ফলে পাথর উত্তোলনে জিটিসি’র এই সফলতার পর প্রথম দফা চুক্তির মেয়াদ শেষে জিটিসি’র সাথে নতুন করে আবারও খনি কর্তৃপক্ষের ৬ বছরের জন্য চুক্তি সম্পাদিত হয়। দ্বিতীয় দফা চুক্তির প্রথম বছরে নির্ধারিত সময়ে বাৎসরিক উত্তোলনে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অনেক বেশী পরিমান পাথর উত্তোলন করে জিটিসি।

মধ্যপাড়া পাথর খনি থেকে উৎপাদনের মাসিক এই নতুন নতুন রেকর্ড সৃষ্টি একদিকে অন্যদিকে খনি কর্তৃপক্ষের আয়ত্বাধীন পাথর বিক্রি অতিমাত্রায় ধীর গতিতে হওয়ার কারনে খনি কর্তৃপক্ষ ব্যর্থতার দিকে যাচ্ছে বলে একটি সূত্রের দাবী। রেকর্ড পরিমানে পাথর উত্তোলনের ফলে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে খনি সংশ্লিষ্ট এলাকার জনগণের অর্থনৈতিক এবং জীবন মানের প্রভুত উন্নতি হয়েছে। 

বলা হয়েছে, বর্তমান সরকারের উন্নয়নের সহযোগি হিসেবে মধ্যপাড়া পাথর খনির অবদান অব্যাহত রাখতে খনি সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা পেলে জার্মানীয়া-ট্রেস্ট কনসোর্টিমের মাধ্যমে মধ্যপাড়া পাথর খনি দেশের অর্থনীতির ক্ষেত্রে একটি মাইল ফলক হবে বলে অভিজ্ঞ মহলের ধারনা।

– দিনাজপুর দর্পণ নিউজ ডেস্ক –